রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে এলিমিনেটর হেরে বিপিএলের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলো ফরচুন বরিশাল। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব এ দিন ব্যাট করেননি। কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলছেন এটা সাকিবের পরিকল্পনা ছিল।
আগে ব্যাট করা ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটে তোলে ১৭০ রান। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৮ বলে ৬৯ রানের দারুণ ইনিংস মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে আজই প্রথম খেলা আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার হয়েছেন ব্যর্থ। ১৬ বলে করতে পারেননি ১২ রানের বেশি।
তিন নম্বরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও চার নম্বরে নেমে করিম জানাত যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৩ রান করেন। পাঁচ নম্বরে নেমে রাজাপাকশে অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ১৭ রানে।নিয়মিত তিন, চারে খেলা সাকিব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিংয়েই নামলেন না। কিছুটা অবাকই হতে হয়েছে এমন কিছুতে। কারণ টুর্নামেন্টে দলের সবচেয়ে সেরা ব্যাটার তিনি।
আজ ব্যাটিংয়ে না নামলেও ১১ ইনিংসে ৪১.৬৬ গড়ে ১৭৪.৪১ স্ট্রাইক রেটে সাকিবের রান ৩৭৫। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন দুই নম্বরে।বরিশাল যে শুরু পেয়েছিল তাতে দলীয় সংগ্রহটা আরও বেশি হতে পারতো। এমনটাই মনে করেন কোচ ফাহিম। সাকিব নামলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যেত সরাসরি এমনটা না বললেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাকিবের না নামার।
তার ভাষায়, ‘এত ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম হবার পরেও ওর মাথায় হয়তো এটা কাজ করেছিল যে রাজাপাকসে কিংবা করিমকে আগে পাঠিয়ে ফ্রি করে দিলে ওরা যদি ফ্রিলি খেলে। নো ম্যাটার যতটুকুই রান করুক না কেন, সেটা যদি ভালো রেটে করতে পারে; সেটা দলের কাজে আসবে। ও শেষে গিয়ে ওর কাজ করবে। কিন্তু আমার মনে হয় না ওই পরিকল্পনাটা খুব কাজে এসেছে। রাজাপাকসে বা কারিমকে পাঠানো হয়েছে আগে…।’
‘আমরা যেটা প্রত্যাশা করে পাঠিয়েছিলাম, ওরা সেটা করতে পারেনি। সেটা উইকেটের কারণে হোক, বিপক্ষ দলের ভালো বোলিংয়ের কারণে হোক বা তাদের নিজস্ব ইন্টেন্টের অভাবেই হোক। এ কারণে কিন্তু আমরা পিছিয়ে গেছি। যে ফর্মেশনটা শুরু হয়েছিল উদ্বোধনী জুটিতে বা পরে, আমাদের সুযোগ ছিল ১৯০ বা সেই স্কোরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ওই ব্যাটিং শক্তি কিন্তু আমাদের ড্রেসিংরুমে ছিল, কিন্তু আমরা সেটা ব্যবহার করতে পারিনি।’সাকিবের ব্যাটিং না করার সিদ্ধান্তটা একান্ত নিজের। তবে বরিশাল অধিনায়ক আলাপ করেছেন কোচিং স্টাফের সাথেও। এমনটাই বলছেন ফাহিম।তিনি জানান, ‘অধিনায়কেরই কল থাকে সাধারণত (এসব সিদ্ধান্তে)। এমন না যে আমাদের সঙ্গে আলাপ করেনি। কিন্তু এটা ক্যাপ্টেন্স কল।
ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিল যে ওরা ভালো খেলোয়াড়, তারা যদি যায়; দুয়েক ওভারে যদি এক্সালেরেট করে নিয়ে আসতে পারে। আমাদের সেরকম একটা অবস্থান ছিল, এক উইকেট বা দুই উইকেট হারালেও অসুবিধা হতো না আমাদের। ওই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।’